নার্স ও রিসেপসনিষ্ট খন্ডযুদ্ধ : ব‍্যাপক উত্তেজনা চিকিৎসাকেন্দ্র চত্ত্বরে

6th August 2021 8:39 am বাঁকুড়া
নার্স ও রিসেপসনিষ্ট খন্ডযুদ্ধ : ব‍্যাপক উত্তেজনা চিকিৎসাকেন্দ্র চত্ত্বরে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নার্স-রিসেপসেনিস্ট খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র বিষ্ণুপুরের দিশা হসপিটাল! অবাধে 'স্বাস্থ্যসাথী' দুর্নীতি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে অশালীন আচরণ! গুরুতর অভিযোগ হসপিটাল মালিকের বিরুদ্ধে!

স্বাস্থ্যকর্মী মহিলা এবং রিসেপসেনিস্টদের খণ্ডযুদ্ধে  রণক্ষেত্র বিষ্ণুপুর দিশা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল। ২ জন রিসেপসেনিস্ট এবং হসপিটাল মালিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর অশালীন আচরণ, দুর্ব্যবহার, ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি তুলে ভাইরাল করা এবং স্বাস্থ্যসাথী দুর্নীতি নিয়ে হসপিটাল বন্ধের দাবিতে হসপিটাল চত্বরে বিক্ষোভে নামলেন দিশা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালের মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, রাত হলেই হাসপাতালের ভেতর মদ্যপান ও নার্সদের সঙ্গে অবভ্য আচরন করেন হসপিটাল মালিক অভীক গাঙ্গুলি এবং তার সঙ্গ দেন এক রিসেপসেনিস্ট। এছাড়াও ঘুমন্ত অবস্থায় এক অসুস্থ গর্ভবতী নার্সের ছবি তুলে তা ভাইরাল করার গুরুতর অভিযোগও সামনে আসে ওই রিসেপসেনিস্টের বিরুদ্ধে।

যদিও অভিযুক্ত রিসেপসেনিস্ট সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সদের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধোরের অভিযোগ তোলে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দিশা হসপিটাল চত্বর। নার্সদের সঙ্গে অভিযুক্ত এই রিসেপসেনিস্টের খণ্ডযুদ্ধে যা আরো ব্যাপক মাত্রা পায়। এই মর্মে এদিন বিষ্ণুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন নার্সরা, যাতে ফের হসপিটাল বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও এদিন কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। এই অভিযোগের পাশাপাশি হসপিটালের নার্সরা হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগও তুললেন। তাদের দাবি, রোগী হাসপাতালে না থাকলেও তার চিকিৎসা চলে এবং টাকা নিয়ে দুর্নীতি করে হসপিটাল মালিক ও ম্যানেজমেন্ট।

যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন হসপিটাল মালিক অভীক গাঙ্গুলি নিজে। তিনি এটিকে হসপিটালের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা বলে উল্লেখ করেন। একইভাবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন হসপিটাল মালিকের উকিলও।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।